বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিজেপি একটা রোগ: মমতা  

  •    
  • ২৩ জুন, ২০২১ ২৩:২০

‘বিজেপি আসলে একটা রোগ। এরা নিজেদের হার মানতে জানে না। জনতার রায় মানতে জানে না। মানুষের চাহিদা বোঝে না। এরা আইন মানে না। এখন কেউ যদি ভাবে, সেলফিশ জায়ান্ট হবে তবে কিছু করার নেই।’

পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আচরণকে রোগের সঙ্গে তুলনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।

আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্যুতে রাজ্য সরকার পূর্ণ সমর্থন দেবে জানিয়ে বুধবার নবান্নে প্রেস ব্রিফিংয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায় আলাপনের প্রতি কেন্দ্রের আচরণ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিজেপি আসলে একটা রোগ। এরা নিজেদের হার মানতে জানে না। জনতার রায় মানতে জানে না। মানুষের চাহিদা বোঝে না। এরা আইন মানে না। এখন কেউ যদি ভাবে, সেলফিশ জায়ান্ট হবে তবে কিছু করার নেই।’

সেলফিশ জায়ান্ট, অস্কার ওয়াইল্ডের এক হিংসুটে দৈত্যের গল্প। ওই দৈত্য তার বাগানে বাচ্চাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার ফলে তার সাধের বাগান শুকিয়ে গিয়েছিল। বিজেপি সরকারকে সেই নিষ্ঠুর দৈত্যর সঙ্গে তুলনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় আলাপনকে দেয়া কেন্দ্রের চিঠি প্রসঙ্গে বলেন, ‘আপনারা আলাপনের মতো একজন অফিসার দেখান তো আমাকে। আলাপন একজন অত্যন্ত যোগ্য অফিসার, সৎ অফিসার। ও সারা জীবন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছে। ওকে ওর ভাইয়ের মৃত্যুর কয়েক দিনের মধ্যে কেন্দ্র যেভাবে হেনস্তা করেছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। দেশের জন্য সারা জীবন কাজ করলো, আর দেশ এখন এই প্রতিদান দিচ্ছে ওকে।’

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা শুধু ওর লড়াই নয়, দেশের সমস্ত আইএএস এবং আইপিএস অফিসাররা আলাপনের সঙ্গে আছে। ও ওর মতো সিদ্ধান্ত নেবে, তবে যাই করুক আমাদের সরকার ওকে পূর্ণ সমর্থন দেবে।’

মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকা ইয়াস ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনা বৈঠকে উপস্থিত না থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দীঘার অন্য একটি বৈঠকে যোগ দেয়ায়, সাবেক মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে বদলি করা হয়। আলাপন

দিল্লিতে কর্মীসভার দপ্তরে যোগ না দিয়ে ওই দিনই অবসর নিয়ে নেন। প্রসঙ্গত এই দিনই আলাপনের অবসর নেয়ার দিন ছিল।

করোনায় বিপর্যস্ত রাজ্যের জন্য কেন্দ্রের কাছে মুখ্যসচিবের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে কেন্দ্র তিন মাসের জন্য চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি করে। এর মধ্যে ঘটে যায় প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে অনুপস্থিত থাকার বিতর্কের বিষয়টি।

এ বিভাগের আরো খবর